Top News

রামনগরের আখেড়ের মোড়ে জমজমাট পণ্যবাজার: কৃষকের জয়গান।

 


রামনগরের নতুন সম্ভাবনা: আখেড়ের মোড়ে পেঁয়াজ-রসুনের জমজমাট হাটে ব্যতিক্রমী চিত্র।

প্রতিবেদন: নবজাগরণ ডেস্ক | ২৬ এপ্রিল ২০২৫

গত সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ — রামনগরের আখেড়ের মোড়ে যেন হঠাৎই জীবন্ত হয়ে উঠেছিল এক নতুন সম্ভাবনার দৃশ্যপট। দীর্ঘদিন পর সেই জনপদে শুরু হয় এক নতুন হাটের আনুষ্ঠানিক সূচনা, যেখানে মূল আকর্ষণ ছিল পেঁয়াজ ও রসুনের বিপুল আমদানি এবং ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যতিক্রমী চিত্র।

প্রথম দিনেই এই হাটে যেভাবে কৃষক, পাইকার এবং ভোক্তারা একত্র হয়েছিলেন, তাতে স্থানীয় ব্যবসায়িক প্রাণপ্রবাহে নতুন গতি সঞ্চার হওয়ার ইঙ্গিত স্পষ্ট। প্রত্যন্ত অঞ্চল হলেও আখেড়ের এই মোড় আজ প্রমাণ করলো—যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ থাকলে গ্রামীন অর্থনীতি নিজের গতিতেই অগ্রসর হতে পারে।

পেঁয়াজ ও রসুন—দুইটি মৌলিক কৃষিপণ্য, যা প্রতিদিনের রান্নায় অপরিহার্য। আর সেই প্রয়োজনীয় জিনিস যখন সরাসরি কৃষকদের হাত থেকে ন্যায্য দামে পাওয়া যায়, তখন লাভবান হন উভয় পক্ষই। হাটে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎপাদকরা তাদের পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পেরে খুশি, এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কম থাকায় বাজারমূল্যও নিয়ন্ত্রণে ছিল। ক্রেতারাও সস্তায় মানসম্মত পণ্য পেয়ে সন্তুষ্ট।



এই হাটের ব্যতিক্রমী দিক হলো, এটি একদিনের কোনো আয়োজন নয়—বরং স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সংগঠনের যৌথ সহযোগিতায় এটি নিয়মিত হাটে রূপান্তরের পথে। সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, ভবিষ্যতে এই হাটে আরও কৃষিপণ্য, মসলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন স্থানীয় বাজারব্যবস্থা কৃষকদের মধ্যস্থতাবিহীন বিপণনের সুযোগ তৈরি করে, যা দেশের খাদ্যনিরাপত্তা ও গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য এক বড় আশার আলো।

এই উদ্যোগ যদি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে আখেড়ের মোড় শুধু একটি হাট নয়—পরিণত হতে পারে একটি আঞ্চলিক কৃষি বিপণন কেন্দ্র হিসেবে। এতে যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে, তেমনি কৃষক ও ভোক্তার মধ্যে তৈরি হবে স্বচ্ছ ও টেকসই সম্পর্ক।

নবজাগরণ থাকবে এমন প্রতিটি প্রয়াসের সাক্ষী হয়ে।

নবীনতর পূর্বতন