Top News

দোহায় ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ: প্রেষণে যাচ্ছে ৭২৫ বাংলাদেশি সেনা।

 




কাতারে প্রতিরক্ষা সংলাপ: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ ও কাতার.

দোহার রিপোর্ট | ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

দোহায় অনুষ্ঠিত আর্থনা সামিটে এক হৃদয়গ্রাহী সাক্ষাতে মিলিত হলেন কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আবদুর রহমান বিন হাসান আল-থানি এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎ দুই দেশের সামরিক সম্পর্ককে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিল।

প্রধান উপদেষ্টা কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৭২৫ সদস্যকে বিভিন্ন সার্ভিস থেকে কাতার সশস্ত্র বাহিনীতে প্রেষণে পাঠানোর প্রস্তাব গ্রহণ করার জন্য। এই উদ্যোগকে তিনি কেবল কর্মজগতের নয়, বরং দুই দেশের মধ্যকার আস্থা ও পারস্পরিক সম্মান বৃদ্ধির এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।

অধ্যাপক ইউনুস আশা প্রকাশ করেন, এই সামরিক বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের বাহিনী অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সহযোগিতার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে তিন দশকের অভিজ্ঞতা ও শৃঙ্খলাপূর্ণ মনোভাব বাংলাদেশের বাহিনীকে একটি মূল্যবান সম্পদে পরিণত করেছে, যা কাতার বাহিনীকেও উপকৃত করবে।



এই সহযোগিতা শুধু সামরিক সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং এটি ভবিষ্যতের আরও বিস্তৃত জনগণের মধ্যে সংযোগের ভিত্তি তৈরি করবে বলেও বিশ্বাস করেন তিনি।

এই সংলাপ কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং এক দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সম্পর্কেরও পূর্বাভাস। দুই দেশের বন্ধুত্বের এই নবতর অধ্যায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে—সহযোগিতাই আগামী দিনের শান্তি ও উন্নয়নের চাবিকাঠি।



নবজাগরণের বিশ্লেষণ:

এই ধরনের সহযোগিতা যেমন বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানের নতুন দরজা খুলে দেয়, তেমনি এটি একটি উন্নয়নশীল দেশের সামরিক পেশাদারিত্বের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিরও দৃষ্টান্ত। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ক্রমেই কৌশলগত গভীরতর হচ্ছে—এবং এই সংলাপ তারই প্রমাণ।

নবীনতর পূর্বতন