Top News

পোপ ফ্রান্সিসের অন্তিম বিদায়: ভ্যাটিকান সিটিতে অধ্যাপক ইউনুসের আবেগঘন মুহূর্ত।


 

ভ্যাটিকান সিটিতে শ্রদ্ধার অর্ঘ্য: পোপ ফ্রান্সিসের অন্তিম বিদায়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ।


ভ্যাটিকান সিটি, ২৬ এপ্রিল:

পৃথিবীর খ্রিস্টান সমাজের অন্যতম মহানায়ক পোপ ফ্রান্সিসের অন্তিম যাত্রায় এক অনন্য মুহূর্তের সাক্ষী হলো বিশ্ব। সেই ঐতিহাসিক ক্ষণে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস, ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে অনুষ্ঠিত পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সকালে সেন্ট পিটার্স বাসিলিকায় পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টাকে ভ্যাটিকানের সিনিয়র কর্মকর্তারা আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। এরপর তিনি মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে নীরব প্রার্থনায় অংশ নেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিশ্বের ১৩০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা দুই ঘণ্টাব্যাপী স্মরণীয় এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেন। শোকাবহ পরিবেশে পোপের শান্তির বাণী আর মানবতার আহ্বান যেন প্রতিটি হৃদয়ে নতুন করে প্রতিধ্বনিত হলো।

অনুষ্ঠানের আগে ও পরে, অধ্যাপক ইউনুস বিশ্বের প্রভাবশালী বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টুব, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্ট, লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউক ও গ্র্যান্ড ডাচেস, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, ইস্ট টিমরের প্রেসিডেন্ট, হন্ডুরাসের প্রধানমন্ত্রী, আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট, বেলজিয়ামের রাজা-রানী ও প্রধানমন্ত্রী, মোনাকোর প্রিন্স আলবার্ট, নরওয়ের প্রিন্স-প্রিন্সেস, তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, লিশটেনস্টাইনের রাজকীয় প্রতিনিধিরা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখসহ বিশ্বের নানা প্রান্তের কূটনীতিক ও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে।



বিশ্বের বিবেক হিসেবে পরিচিত পোপ ফ্রান্সিসের অন্তিম বিদায়ে এভাবে বাংলাদেশের সম্মানজনক উপস্থিতি শুধু আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদাকেই উজ্জ্বল করেনি, মানবতার সেতুবন্ধন নির্মাণেও নতুন বার্তা বহন করেছে।

আজকের এই দিনটি স্মরণ করিয়ে দিল—শান্তি, সহমর্মিতা এবং মানবকল্যাণের জন্য বিশ্বের নেতৃত্ব যখন একত্রিত হয়, তখন ভৌগোলিক সীমানা মুছে গিয়ে কেবল মানবতারই বিজয়গাথা রচিত হয়।

নবীনতর পূর্বতন