Top News

বাংলাদেশ জুড়ে তাপপ্রবাহ: রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি!

 



শুক্রবারের আগুনঝরা দুপুরে বাংলাদেশের ওপর তাপ-প্রবাহের নির্মম থাবা।

নবজাগরণ প্রতিবেদন | ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

গ্রীষ্মের তেজ আজ যেন কেবল সূর্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, ছড়িয়ে পড়েছে দেশের মানুষের প্রতিটি নিঃশ্বাসে। আজকের দুপুরে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিভাগ যেন দাবদাহের এক অভিন্ন অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলো। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৮টি বিভাগের উপরেই আজ শুক্রবার তাপ-প্রবাহ বিস্তার লাভ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজশাহীতে আগুন ঝরা বাস্তবতা.

দুপুর ১২টায় রাজশাহী জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই তাপমাত্রা ছিল আজকের দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা গরমের ভয়াবহতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরছে।

তাপমাত্রার ওঠানামা, কিন্তু আরাম নেই কোথাও.

অন্যদিকে, কুড়িগ্রাম জেলার তাপমাত্রা ছিল তুলনামূলক কম—৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। কিন্তু স্বস্তি বলতে কিছু ছিল না, কারণ এটি ছিল গরমের তীব্রতা থেকে নিস্তার দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত নয়।

৩৫টি স্টেশনে ৩৩ ডিগ্রি বা তার বেশি তাপমাত্রা.

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩৭টি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের মধ্যে ৩৫টিতেই আজ দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়, তাপপ্রবাহ এখন আর অঞ্চলভিত্তিক সীমিত নয়—বরং এটি একটি দেশব্যাপী বাস্তবতা।

বিকেলের পূর্বাভাস: পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে.

দুপুরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিকেল ৩টার মধ্যে দেশের আটটি বিভাগের উপরেই তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের শেষে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মানবিক দৃষ্টিকোণ: তাপপ্রবাহ শুধু সংখ্যা নয়, এক নীরব সংকট.

এই তাপপ্রবাহের তথ্যগুলো নিছক সংখ্যা নয়—এগুলো মানুষের ক্লান্তি, অসুস্থতা ও জীবনের অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেয়। শ্রমজীবী মানুষ, শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই আবহাওয়া বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। তাপঘাতের ঝুঁকি বাড়ছে প্রতিদিন।

শেষ কথা:

গরমের এই ভয়াবহ ঢেউ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে নয়, বরং ভিতরে ঢুকে পড়েছে। সময় এসেছে ব্যক্তিগত সচেতনতার পাশাপাশি নীতিনির্ধারকদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের। নয়তো প্রতি গ্রীষ্মে আমরা এভাবেই আগুনে পোড়া পৃথিবীর গল্প লিখে যাব।

নবীনতর পূর্বতন