Top News

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ: ঈদে এটিএম বন্ধ রাখা যাবে না।

 


ঈদের বন্ধে এটিএম সচল রাখতে ব্যাংকগুলোর বাড়তি প্রস্তুতি। 

ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকলেও এটিএম ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, টানা ৯ দিনের ছুটিতেও (১০-১৮ এপ্রিল) গ্রাহকরা যেন নগদ সেবা পেতে বেগ পেতে না হয়, সে জন্য নেওয়া হয়েছে নানামুখী ব্যবস্থা। তবে কিছু এটিএমের অচলাবস্থা ও সীমাবদ্ধতা গ্রাহকদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।  

এটিএম ও সিআরএম নেটওয়ার্কের বর্তমান চিত্র: 

বাংলাদেশে বর্তমানে ১২,৯৪৬টি এটিএম এবং ৭,০১২টি ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন (সিআরএম) চালু রয়েছে। ঈদের সময়ে টাকা উত্তোলনের চাপ মোকাবিলায় ব্যাংকগুলো এটিএমে নিয়মিত ক্যাশ রিফিল করছে। একটি এটিএমে সাধারণত ২০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা রাখা হয়, যাতে গ্রাহকরা নগদ সেবা পেতে অসুবিধায় না পড়েন।  



বড় ব্যাংকগুলোর প্রস্তুতি:  

- ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: দেশের সবচেয়ে বড় এটিএম নেটওয়ার্ক (৮,২৫০টি) থাকায় এই ব্যাংক ঈদের আগ পর্যন্ত তাদের ফাস্ট ট্র্যাক সেবা সচল রেখেছে। ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে কোনো এটিএমে টাকা ফুরালে তাৎক্ষণিক সতর্কবার্তা পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

- পূবালী ব্যাংক: শাখা ও এটিএম নেটওয়ার্ক শক্তিশালী এই ব্যাংক তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দূরবর্তী বুথে টাকা সরবরাহ নিশ্চিত করছে।  

- সিটি ব্যাংক: ৮০% এটিএম শাখা-নিয়ন্ত্রিত এবং বাকিগুলো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত। তাদের সিআরএম সেবা ঈদ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  



গ্রাহকদের ভোগান্তি ও সমাধান:

যদিও বেশিরভাগ ব্যাংক এটিএম সচল রাখার দাবি করছে, তবুও কিছু প্রতিষ্ঠানের মেশিনে টাকা ফুরানো, কার্ড ব্লক বা লেনদেন সীমাবদ্ধতা গ্রাহকদের সমস্যায় ফেলছে। বিশেষ করে, কিছু ব্যাংক শুধু নিজস্ব গ্রাহকদের জন্য এটিএম সীমিত করে রেখেছে বা উত্তোলনের পরিমাণ ক্যাপ করে দিয়েছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি: 

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতিমধ্যে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঈদের ছুটিতে ডিজিটাল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং ও এটিএম সেবা সচল রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান নির্দেশনা অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।  

#ঈদ২০২৫ #এটিএম #ব্যাংক_ছুটি #ডিজিটাল_ব্যাংকিং #গ্রাহক_সেবা

নবীনতর পূর্বতন