টিএনজেড গ্রুপ: শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে আন্দোলন, ৩ কোটি টাকার আশ্বাসে স্থগিত।
– টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা ঈদের আগে বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে আন্দোলন করছেন। শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের হস্তক্ষেপে আপাতত ৩ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছে, তবে শ্রমিকদের প্রাপ্য ১৭ কোটি টাকা। ফলে, অনিশ্চয়তা কাটেনি।
টিএনজেড শ্রমিক আন্দোলন: কী ঘটছে?
- টিএনজেড গ্রুপের ৩টি কারখানা বন্ধ, ৩,১৬৬ শ্রমিকের ১৭ কোটি টাকা বকেয়া।
- শ্রমিকরা ২৩ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু করেন, শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
- গত বৃহস্পতিবার পুলিশ গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলাম শাহীনকে গ্রেপ্তার করে।
- শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের মধ্যস্থতায় ৩ কোটি টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, কিন্তু শ্রমিকরা সম্পূর্ণ অর্থ চাইছেন।
শ্রমিকদের প্রতিক্রিয়া: "আংশিক টাকায় সমস্যার সমাধান হবে না"
শ্রমিক নেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, "আমরা চাই, ঈদের আগে অন্তত এক মাসের বেতন ও বোনাস দেওয়া হোক। কিন্তু পুরো বকেয়া টাকা না পেলে আন্দোলন আবার শুরু হবে।"
মালিকপক্ষ ও সরকারের অবস্থান:
- টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক শরীফুল ইসলাম যন্ত্রপাতি বিক্রি করে টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন।
- শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান জানান, ব্যাংক বন্ধ থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুরো টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
- ৭ এপ্রিল আরেকটি বৈঠক হবে, যেখানে বাকি টাকা পরিশোধের রোডম্যাপ আলোচিত হবে।
বিজিএমইএ’র তথ্য: অধিকাংশ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধিত:
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) জানিয়েছে:
- ৯৯.৫৭% কারখানা ঈদ বোনাস দিয়েছে।
- ৯৮.৬৭% কারখানা মার্চের বেতন (আংশিক/সম্পূর্ণ) পরিশোধ করেছে।
- মাত্র ৬টি কারখানায় বেতন বকেয়া রয়েছে, যেগুলোতে সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে।
শ্রমিক আন্দোলন: সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন:
শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সমাধান আসেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে আরও কঠোর নীতিমালা প্রয়োজন।
৭ এপ্রিলের বৈঠকই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ:
যদি টিএনজেড গ্রুপ শ্রমিকদের বকেয়া টাকা না দেয়, আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে। এই ঘটনা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।
- টিএনজেড শ্রমিক আন্দোলন, বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস, বিজিএমইএ, শ্রম মন্ত্রণালয়