Top News

কেরাণীগঞ্জে কিশোরী হত্যা: তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডে ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত।

 


কেরাণীগঞ্জে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা: তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড।

কেরাণীগঞ্জে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর কিশোরীকে হত্যার দায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর এই রায় ঘোষণা করা হলো, যা দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪–এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই দণ্ড ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—মো. সজীব, মো. রাকিব ও শাওন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।



ঘটনার বিবরণ

২০২২ সালের ১১ জুন রাজধানীর উপকণ্ঠ কেরাণীগঞ্জে একটি ভয়াবহ অপরাধ সংগঠিত হয়। এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হয় এবং পরে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার লাশ ডোবায় ফেলে রাখা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২৩ সালে এই মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং ২০২৪ সালে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করেন।

ন্যায়বিচারের অপেক্ষার অবসান

এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১৯ জন সাক্ষী উপস্থাপন করে, যারা অপরাধীদের দোষী প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তিন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ সাজা দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদুল আলম বলেন, "এই রায় নিঃসন্দেহে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যা অপরাধীদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করবে।"

দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া

এই রায়ের পর বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পাওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে, তবে তারা দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোও এই রায়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে, তবে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

নারী অধিকার কর্মী শারমিন আক্তার বলেন, "এই রায় আমাদের বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা বাড়াবে। তবে কেবল সাজা দিলেই হবে না, সমাজের সর্বস্তরে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।"



শেষ কথা

কেরাণীগঞ্জের এই নির্মম ঘটনা শুধু একটি বিচ্ছিন্ন অপরাধ নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের এক ভয়ংকর বাস্তবতা তুলে ধরে। এই রায় অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী অনেকে। তবে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

-----

নবজাগরণ রিপোর্টিং ডেস্ক

নবীনতর পূর্বতন