একটা সময় ছিল যখন ফুটবল খেলা হত মাঠে, কিন্তু এখন? খেলা হয় ব্যাংকের চেকবইতে! ম্যানচেস্টার সিটি আবারও প্রমাণ করল যে ফুটবলে প্রতিভা থাকলেই হবে না, সঙ্গে লাগবে টাকার বান্ডিল। আর সেটাই তারা দেখিয়ে দিল ২০২৫ সালের জানুয়ারির দলবদলে, যেখানে তারা ব্যয় করেছে £১৮০ মিলিয়ন—শুধুমাত্র কয়েকজন খেলোয়াড়ের জন্য!
নিকো গঞ্জালেজ: ছয় মাসে মূল্যবৃদ্ধির জাদুকর!
সিটির নতুন মধ্যমণি নিকো গঞ্জালেজ। ছেলেটা ২০২৩ সালে মাত্র £৭ মিলিয়ন দিয়ে পোর্তোতে যোগ দিয়েছিল, আর এখন? ম্যান সিটি তাকে কিনল £৫০ মিলিয়নে! ছয় মাসে তার মূল্য ৭ গুণ বেড়ে গেছে! মনে হচ্ছে, এই ছেলেকে স্টক মার্কেটের শেয়ারের মতো ট্রেড করা হচ্ছে।
গার্দিওলা বলছেন,
"আমরা এমন একজন মিডফিল্ডার চেয়েছিলাম যে রদ্রির জায়গায় খেলতে পারবে।"
আচ্ছা, সিটি কি ইনজুরির জন্য ব্যাকআপ কিনছে নাকি নতুন খেলোয়াড়দের দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট চালাচ্ছে? কে জানে!
ম্যান সিটির খরচ: দল গঠন নাকি প্লেয়ার শপিং?
চলতি জানুয়ারিতে সিটি কিনেছে ৫ জন খেলোয়াড়:
নিকো গঞ্জালেজ (পোর্তো) - £৫০ মিলিয়ন
আবদুকাদির খুসানভ (লেন্স) - £৩৩.৬ মিলিয়ন
রেইস (পালমেইরাস) - £২৯.৬ মিলিয়ন
ওমর মারমুশ (আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট) - £৫৯ মিলিয়ন
ডেরিক কুন (স্টুটগার্ট) - £৮ মিলিয়ন
টাকার গন্ধ এতই বেশি যে, প্রতিপক্ষ দলগুলো এখন খেলা শুরুর আগে ম্যান সিটির প্লেয়ারদের দেখে বলে, "ভাই, তোমাদের বাজেট কতো?"
সিটির চ্যালেঞ্জ: শিরোপা নাকি মামলা সামলানো?
ম্যান সিটি বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম স্থানে আছে এবং শীর্ষে থাকা লিভারপুলের থেকে ১৫ পয়েন্ট পিছিয়ে। তবে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী কে জানো? এফএ ও প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ!
সিটির বিরুদ্ধে ১১৫টি আর্থিক অনিয়মের মামলা চলছে। যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে দলবদলের এই বিলাসিতা হয়তো একদিন শুধুই স্মৃতিতে পরিণত হবে!
ফুটবল নাকি ফাইন্যান্স লিগ?
সিটির ব্যয় দেখে মনে হচ্ছে তারা ফুটবল খেলতে নয়, বরং প্রতিযোগিতা করছে "কে সবচেয়ে বেশি টাকা ওড়াতে পারে?" এই বিষয়ে! একদিকে বার্সেলোনা খেলোয়াড় কিনতে গিয়ে টাকার অভাবে হাঁপাচ্ছে, আর অন্যদিকে সিটি যেন বলছে, "কত দাম? বলো, নিয়ে নেব!"
শেষ কথা?
ম্যান সিটি হয়তো মাঠে সবসময় জিততে পারবে না, কিন্তু দলবদলের বাজারে তারা নিশ্চিতভাবেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন!