একুশের প্রথম প্রহরে জাতির শ্রদ্ধার অর্ঘ্য
নবজাগরণ ডেস্ক
একুশে ফেব্রুয়ারি, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে জাতীয় শহীদ মিনার পরিণত হয়েছিল শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বীর শহীদদের স্মরণে এক গভীর অনুভূতির কেন্দ্রে। রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর এক মিনিট নীরবতা পালন করে তিনি জাতির বীর সন্তানদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাত ১২টা ১২ মিনিটে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্যরা, শিক্ষক সমিতি এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। সর্বস্তরের মানুষের জন্য শহীদ মিনার উন্মুক্ত রাখা হয়, যাতে তাঁরা ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও শহীদ মিনারে ছিল আবেগময় পরিবেশ। কালো ব্যাজ ধারণ করা মানুষ, অশ্রুসিক্ত নয়ন, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গানের প্রতিটি শব্দে যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল বাঙালির আত্মত্যাগের গৌরবগাথা। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের স্মরণে সারা রাত শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানুষের ঢল অব্যাহত থাকে।
একুশ মানে হার না মানার প্রত্যয়। একুশ মানে ভাষার জন্য লড়াইয়ের অমর চেতনা। সেই চেতনা বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল জাগরুক থাকুক।