১৮ই জানুয়ারি শনিবার :
---
নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার: নতুন প্রস্তাবনা নিয়ে চিন্তা ভাবনা
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় নতুন পরিবর্তন আনার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন নানা ধরনের প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করেছে। আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে এসব প্রস্তাবনা সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। এই প্রস্তাবনাগুলো নির্বাচনী ব্যবস্থা আরো শক্তিশালী ও সুষ্ঠু করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
কমিশন প্রধান, ড. বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে কিছু নতুন বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আগে কখনো ছিল না। এর মধ্যে একটি হল 'না ভোট' চালু করা। এটি এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থী না পেলে 'না' ভোট দিতে পারবেন। এমনকি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহারও পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদিও কিছু মতভেদ দেখা যাচ্ছে, তবে কমিশন আশা করছে, ঐকমত্য সৃষ্টি করে এসব প্রস্তাব কার্যকর করা সম্ভব হবে। তবে, বিএনপি ও জামায়াতের মত কিছু দল 'না ভোট' এর বিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, যা সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় আরো সংস্কার প্রস্তাবনা
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন দেশটির নির্বাচনী ব্যবস্থায় আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন, নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাদ দেওয়া, এবং জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং ইউএনওদের পরিবর্তে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়োগ।
এছাড়াও, ইভিএম পদ্ধতি বাতিল এবং ভোট বাতিল করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবও এসেছে। এই প্রস্তাবনাগুলো নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা একমত হয়ে চূড়ান্ত করেছেন, এবং তারা আশা করছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতায় এসব সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব হবে।
রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং সরকারী কার্যক্রম
তবে, প্রশ্ন হল, এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়ন করা কতটা সম্ভব হবে? অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন, রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ছাড়া এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। বিশেষ করে বিএনপি এবং জামায়াতের মত বড় দলের মতামত এই প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়নে অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মতের ওপর ভিত্তি করেই সরকারের সংস্কার কার্যক্রম সফল হতে পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন