২৯ শে জানুয়ারি :
নির্মম হত্যাকাণ্ডের পেছনে রহস্য: তানিয়া মাহবুব তিন্নির হত্যার বিচিত্র ঘটনা
মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নির হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আরেকটি নতুন অধ্যায় যোগ হয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি আদালত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক অভির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে খালাসের রায় দিয়েছেন। তবে এই মামলার তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এসেছে, যা এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে এই হত্যা কাণ্ডের ভয়াবহতা প্রকাশ করে।
২০০২ সালের ১০ নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তানিয়া মাহবুব তিন্নি। পরদিন তাঁর মৃতদেহ বুড়িগঙ্গা নদীতে পাওয়া যায়। ঘটনা অজ্ঞাত পরিচয় নারী হিসেবে পরিচিত হয়, এবং পরবর্তীতে তাঁর পরিচয় শনাক্ত হয়। কিন্তু এর পরপরই শুরু হয় আদালতে দীর্ঘ বিচারপ্রক্রিয়া।
আদালতের রায়ে উঠে এসেছে, মডেল তানিয়া মাহবুব তিন্নি এবং গোলাম ফারুক অভির সম্পর্ক ছিল প্রেমের। তিন্নি এবং অভি একসাথে এক বাসায় থাকতেন। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে যে, তদন্ত কর্মকর্তাদের জানানমতে, তানিয়া হত্যার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ছিল না। এমনকি, ওই সময় তানিয়ার বাসায় অভি অবস্থান করছিলেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এবং তিন্নির চাচার সাক্ষ্য অনুযায়ী অভি ওই রাতে তানিয়ার বাসায় ছিলেন।
তদন্তের মধ্যে পুলিশ সানজিদুল হাসান ইমনের জবানবন্দি সংগ্রহ করেছিল, যার উপর ভিত্তি করে অভিযোগপত্র তৈরি করা হয়। কিন্তু পরে আদালতে তিনি জানান, অভি তাকে কিছু বলেননি এবং তানিয়ার হত্যার সাথে অভির কোনো সম্পর্ক ছিল না। এ অবস্থায় আদালত তার উপর ভিত্তি করে অভিযোগপত্র জমা দেওয়াকে অস্পষ্ট এবং সন্দেহজনক হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
এ মামলায় আদালত প্রমাণ পেয়েছে যে, অভি এবং তিন্নির মধ্যে কোনো সম্পর্কের অবনতি হয়নি এবং তিন্নি নিজের বাবার কাছে অভির সঙ্গে সম্পর্কের কথা জানিয়েছিলেন। তবে তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যা অপরাধীকে দোষী সাব্যস্ত করতে সক্ষম হয়নি।
এই রায় নিয়ে আগামী দিনে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন।
এদিকে, তানিয়া মাহবুব তিন্নির হত্যার চিত্রটি আরও রহস্যময় হয়ে উঠেছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখনও এই হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে বিচার চেয়ে যাচ্ছে।